Budget 2019-20 Fiscal Year Proposed for 5,23,190 Crore Bangladeshi Taka. The highest expenditure is in the public administration sector.
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটের পরিমাণ জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ৩টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি নিয়ে তিনি বাজেট উপস্থাপন করতে শুরু করেন। এটি দেশের ৪৮তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট।
চলতি বাজেটের আকার ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে নতুন বাজেটের আকার বাড়ছে ১২ দশমিক ৬ শতাংশের বেশি। বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বাজেট থেকে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা বেশি। আগামী ৩০ জুন এই বাজেট পাস হবে। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।
বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক সহায়তা বাবদ ঋণ নেওয়া হবে ৬০ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৫৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত হিসেবে ধরা হয়েছে জনপ্রশাসন খাতকে। এ খাতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ বা প্রায় ৯৬ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট বাজেটের শতকরা ১৫ দশমিক ২ শতাংশ বা প্রায় ৭৯ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। বিভিন্ন সুদের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ১০ দশমিক ৯ শতাংশ বা প্রায় ৫৭ হাজার ২৮ কোটি টাকা।
পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ১২ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় ৬৪ হাজার ৮৭৫ হাজার কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৭ দশমিক ২ শতাংশ বা প্রায় ৩৭ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। কৃষি খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় ২৮ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় ২৮ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বা প্রায় ২৫ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা।
প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৬ দশমিক ১ শতাংশ বা প্রায় ৩১ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বা প্রায় ২৯ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। জনশৃংখলা ও নিরাপত্তা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বা প্রায় ২৭ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা।
গৃহায়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা ১ দশমিক ৩ শতাংশ বা প্রায় ৬ হাজার ৮০১ কোটি টাকা। বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা দশমিক ৯ শতাংশ বা প্রায় ৪ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শতকরা দশমিক ৭ শতাংশ বা প্রায় ৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।
এছাড়াও বিবিধ ব্যয়ের জন্য ধরা হয়েছে শতকরা দশমিক ২ শতাংশ বা এক হাজার ৪৬ কোটি টাকা।