নোবেল বিজয়ীদের তালিকা ২০১৮, সাধারন জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
Nobel Prize Winner List 2018 General knowledge International Affairs
[ad id=’5486′]
১৯০১ সাল থেকেই বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্য সাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং মানবকল্যাণমূলক তুলনারহিত কর্মকাণ্ডের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। মোট ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো— পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইলের মর্মানুসারে এই পুরস্কার প্রচলন করা হয়। নোবেল পাঁচটি ক্ষেত্রে পুরস্কার দেওয়ার জন্য তার মোট সম্পত্তির শতকরা ৯৪ ভাগ দান করে যান। এর মোট পরিমাণ ৩১ মিলিয়ন এসইকে (৩.৪ মিলিয়ন ইউরো, ৪.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
[ad id=’5488′]
২০১৮ সালে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকাঃ
বছর | পদার্থবিজ্ঞান | রসায়ন | চিকিৎসা শাস্ত্র | সাহিত্য | শান্তি | অর্থনীতি |
২০১৮ | আর্থার আস্কিন; জেরার মুরু; ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড | ফ্রান্সিস আর্নল্ড; জর্জ স্মিথ; গ্রেগ উইন্টার | জেমস পি এলিসন; তাসুকু হনজো | ডেনিস মুকওয়েজি; নাদিয়া মুরাদ | উইলিয়াম নোঢাউস; পল রোমার |
[ad id=’5490′]
পদার্থ বিজ্ঞান এ নোবেল বিজয়ী ২০১৮ঃ
“পরমাণু, কণা, ভাইরাসের কোনো ক্ষতি না করে লেজার দিয়ে নাড়াতে সক্ষম অপটিক্যাল টোয়েজার” আবিষ্কারের জন্য একইসাথে নোবেল অর্জনকারী আর্থার আশকিন নোবেল পুরস্কারের মোট অর্থমুল্যের অর্ধেক পাবেন এবং বাকি অর্ধেক মুরু ও স্ট্রিকল্যান্ডের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হয়ে যাবে।
আর্থার আস্কিন (Arthur Ashkin; জন্ম: ২ সেপ্টেম্বর ১৯২২) – একজন আমেরিকান বিজ্ঞানী ও নোবেল বিজয়ী। ১৯৮৭ সালে যখন অপটিকাল টুইজার নামের চমকপ্রদ উদ্ভাবনটি করলেন, তখন তিনি কাজ করছিলেন বেল ল্যাবরেটরিজে। তার ওই উদ্ভাবনকে নোবেল কমিটি তুলনা করেছে সায়েন্স ফিকশনের গল্পকে বাস্তবে পরিণত করার সঙ্গে। আশকিনের অপটিক্যাল টুইজার হলো আক্ষরিক অর্থেই লেজার রশ্মির তৈরি চিমটা, যা দিয়ে অতিক্ষুদ্র কণা, পরমাণু, ভাইরাস আর জীবন্ত কোষ ধরে কোনো ধরনের ক্ষতি না করেই ইচ্ছামতো নড়াচড়া করা বা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরানো সম্ভব। আর্থার আশকিকের সেই অপটিক্যাল টুইজার জৈবিক গবেষণাকে আরও সূক্ষ্ম পর্যায়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নোবেল কমিটি ফরাসি বিজ্ঞানী জেরার্ড ম্যুরো এবং কানাডীয় গবেষক ডোনা স্ট্রিকল্যান্ডকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয় লেজার রশ্মির পালসের দৈর্ঘ্য ছোট করে এনে এর শক্তি বহুগুণে বাড়িয়ে তোলার কৌশল উদ্ভাবনের জন্য। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এই বৈপ্লবিক গবেষণার ধারণাটি প্রথমবারের মতো সামনে আনেন তারা। তাদের উদ্ভাবিত ‘চার্পড পালস এমপ্লিফিকেশন’ বা সিপিএ পদ্ধতি বর্তমানে গোটা বিশ্বে মানুষের চোখের সূক্ষ্ম অস্ত্রোপচারের কাজে ব্যবহূত হচ্ছে।
অ্যাশকিন অপটিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিক (OSA), মার্কিন ফিজিক্যাল সোসাইটির (APS) এবং ইন্সটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারসের (IEEE) ফেলো। তিনি অনেক গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক ছিলেন এবং তার নামে ৪৭ টি পেটেন্ট আছে। অপটিক্যাল টুয়েজার ছাড়াও, আসকিন ফটোরিফ্র্যাকশন, সেকেন্ড হারমোনিক জেনারেশন, এবং ফাইবারে নন-লিনিয়ার অপটিকসের জন্য প্রখ্যাত।
জেরার্ড আলবার্ট ম্যুরো (জন্ম ২২ জুন ১৯৪৪) – ফরাসি বিজ্ঞানী এবং তড়িৎ প্রকৌশলী ও লেসার এর দুনিয়ায় একজন অগ্রগন্য ব্যক্তি এবং নোবেল বিজয়ী।ইউনিভার্সিটি অফ গ্রিনোবেলে বিএসসি, ইকোলে পলিটেকনিকে এমএসসি এবং পিয়েরে অ্যান্ড মেরি কুরি ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
গার্ডিয়ান এবং সায়েন্টিফিক আমেরিকান স্ট্রিকল্যান্ড এবং মুরুর কাজের সারমর্মে উল্লেখ করে বলেন: “এযাবৎকালে সৃষ্ট সবচেয়ে ছোট ও উন্নত লেসার বিম তৈরীর পথ খুলে দিয়েছে”। “অত্যন্ত ছোট, অত্যন্ত তীক্ষ্ণ লেসার বিমের কৌশল বর্তমানে লেসার প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হবে এবং চিকিৎসকরা লক্ষ লক্ষ” লেসার চক্ষু অপারেশন” করতে সক্ষম হবেন।
[ad id=’5492′]
ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড (Donna Theo Strickland; জন্ম: ২৭ মে ১৯৫৯): একজন কানাডীয় পদার্থবিজ্ঞানী, তিনি লেজার রশ্মির বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অগ্রণী। চাপার্ড পালস এমপ্লিফিকেশনের উন্নয়ন ঘটানোর জন্য ২০১৮ সালে জেরার মুরুর সাথে যুগ্মভাবে তিনি নোবেল অর্জন করেন। লেজার রশ্মির পালসের দৈর্ঘ্য ছোট করে এনে এর শক্তি বহুগুণে বাড়িয়ে তোলার কৌশল লেজার মাইক্রোমেশিন, লেজার সার্জারী, ভেষজবিদ্যা এবং মৌলিক বিজ্ঞানের অধ্যয়নে ব্যবহৃত হয়। তিনি ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ বিভাগ ও পদার্থবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক। মারি ক্যুরি ও মারিয়া গোপার্ট মায়ারের পরে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী তিনি তৃতীয় নারী।
১৯৮১ সালে তিনি ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৮৯ সালে রোচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০১১ সালে সহ-সভাপতি ও ২০১৩ সালে দ্য অপটিক্যাল সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
[ad id=’5493′]
রসায়ন : বিবর্তন নিয়ন্ত্রণ
নোবেল কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, এবার রসায়নে নোবেল জয়ী তিন বিজ্ঞানীর কল্যাণে রসায়নে যে বিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে তা মানবজাতির সর্বাধিক সুবিধা নিশ্চিত হয়।
এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দুজন মার্কিনি ফ্রান্সিস এইচ আরনল্ড, জর্জ পি স্মিথ ও একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার।
ফ্রান্সিস হ্যামিলটন আর্নল্ড (জন্ম ২৫ জুলাই ১৯৫৬): আমেরিকান রাসায়নিক প্রকৌশলী এবং ক্যালিফোর্নিয়ার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক। ১৯৫৬ সালের ২৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আর্নল্ড হচ্ছেন রসায়নে নোবেল পাওয়া পঞ্চম নারী। তিনি ১৯৭৯ সালে বিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে প্রিন্সটন থেকে স্নাতক করার পর, আরনল্ড দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রাজিলের প্রকৌশলী এবং কলোরাডোয়ের সৌরশক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটে কাজ করেন। সৌরশক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটে দূরবর্তী অবস্থানের জন্য সৌরশক্তি সুবিধা ডিজাইনের কাজ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। আরনল্ড আমেরিকার অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স, আমেরিকান একাডেমী অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, আমেরিকান একাডেমি অফ মাইক্রোবায়োলজি, আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর মেডিকেল অ্যান্ড জৈবিক প্রকৌশল এবং ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের রয়েল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একজন আন্তর্জাতিক ফেলো। প্রথম নারী হিসেবে ২০১৬ সালে তিনি মিলেনিয়াম টেকনোলজি পুরস্কার জিতেন। কনভারজেন্স গবেষণায় ২০১৭ সালে ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস এবং বেভারলি স্যাকলার পুরস্কার পেয়েছিলেন।
জর্জ পিজজেনিক স্মিথ (জন্ম ১০ মার্চ ১৯৪১): একজন আমেরিকান জৈব রসায়নবিদ এবং নোবেল বিজয়ী। তিনি মিশৌরী কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। হার্ভার্ড কলেজ থেকে তিনি জীববিজ্ঞানের উপর স্নাতক করেন এবং একবছরের জন্য মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক ও পরীক্ষাগারের যন্ত্রবিদ ছিলেন।
তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাকটেরিয়া ও প্রতিষেধক বিজ্ঞানের উপর পিএইচডি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক ছিলেন। তিনি ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮৩-৮৪ রবার্ট ওয়েবস্টারের সাথে কাজ করেন। তার সেখানকার কাজই তাকে পরবর্তীতে নোবেল এনে দেয়।
[ad id=’5494′]
স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার (Sir Gregory Paul Winter, জন্ম ১৪ এপ্রিল, ১৯৫১) – একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। ত্রিনিটি কলেজ কেমব্রিজ থেকে তিনি বিএসসি, এমএসসি ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কাজ করেন বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে। তিনি সর্বাধিক পরিচিত মনোক্লোনাল এন্টিবডির থেরাপিউটিক ব্যাবহার আবিষ্কারক হিসেবে। তিনি ফেলো অফ রয়্যাল সোসাইটি ১৯৯০ এর জন্য মনোনীত হন। এছাড়া ২০১১ সালে উইন্টার রয়্যাল মেডেল জিতে নেন।
[ad id=’5490′]
চিকিৎসা : ক্যান্সার প্রতিরোধে পদক্ষেপ
জেমস পি অ্যালিসন (জন্মঃ ৭ আগস্ট ১৯৪৮) – আমেরিকান প্রতিষেধকবিশেষজ্ঞ। তিনি এম.ডি এন্ডারসন ক্যান্সার সেন্টার এর প্রতিষেধক-থেরাপি এর কার্যনির্বাহী সম্পাদক এবং প্রতিষেধক বিভাগের প্রধান ও অধ্যক্ষ। তার আবিষ্কার প্রাণঘাতী ক্যান্সারের বিরুদ্ধে নব চিকিৎসার সুচনা করে। তিনি ক্যান্সার রিসার্চ ইন্সটিউট বিজ্ঞান পরিষদ কাউন্সিলের পরিচালক। তিনি প্রথম টি-কোষ এন্টিজেন রিসেপ্টর কমপ্লেক্স প্রোটিনকে পৃথক করেন।ক্যান্সারের চিকিৎসায় শরীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করে নতুন এক থেরাপি-পদ্ধতি আবিষ্কার করে তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ তে তাসাকু হনজো এর সাথে যুগ্নভাবে যথাক্রমে ঔষুধপ্রস্তুত বিজ্ঞানে ট্যাঙ পুরস্কার এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।
তাসুকু হনজো (জন্মঃ ২৭ জানুয়ারী, ১৯৪২) – জাপানী প্রতিষেধকবিজ্ঞানী, তিনি সর্বাধিক পরিচিত প্রোগ্রাম করা কোষ মৃত্যু প্রোটিন ১ (পিডি-১) শনাক্তকরণের জন্য।তিনি সাইটোকিন্স: আইএল-৪ ও আইএল-৫ এর আণবিক শনাক্তকরণের জন্য প্রখ্যাত। ক্লাস সুইচ রিকম্বিনেশন ও সোমাটিক হাইপারমিউটেশনের জন্য প্রয়োজনীয় এক্টিভেশন-ইন্ডিউজড সাইটিডিন ডিমিনিজ আবিষ্কারের জন্য প্রখ্যাত।
[ad id=’5486′]
শান্তি : যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে অভিযান
নাদিয়া মুরাদ বাসে তাহা (জন্মঃ ১৯৯৩ সালে) – ইরাকের একজন ইয়াজিদি কুর্দি মানবাধিকার কর্মী। তিনি ইসলামিক স্টেট কর্তৃক প্রায় তিন বছর বন্দী ছিলেন।২০১৮-এ তাকে এবং চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েগেকে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরষ্কারে ভূষিত করা হয় “যৌন নির্যাতনকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে।” তিনি হচ্ছেন প্রথম ইরাকি নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী। মুরাদ “নাদিয়া ইনিশিয়েটিভ” এর প্রতিষ্ঠাতা, একটি সংগঠন যেটি “গণহত্যা, ভর নিপীড়ন, এবং মানব পাচারের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও শিশুদেরকে তাদের জীবন ও সম্প্রদায়কে পুনঃস্থাপন ও পুনর্নির্মাণে সহায়তা করার জন্য নিবেদিত।
ডেনিস মুকেনজিরি মুকওয়েজি (জন্মঃ ১লা মার্চ ১৯৫৫) – কঙ্গোর একজন স্ত্রীরোগ বিশারদ এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজেতা। তিনি বুকাবু’তে পেনজি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই কর্মরত আছেন, যেখানে তিনি বিদ্রোহী বাহিনী কর্তৃক ধর্ষনের স্বীকার নারীদের চিকিত্সা দিয়ে থাকেন।
দ্বিতীয় কঙ্গো যুদ্ধ থেকেই তিনি ধর্ষণের স্বীকার হাজারো নারীকে চিকিত্সা সেবা প্রদান করে আসছেন। তার আঠারো ঘন্টার কর্মদিবসে তিনি দৈনিক দশটি অস্ত্রোপচার করে থাকেন। ২০১৮ সালে তিনি এবং নাদিয়া মুরাদ “যৌন নিপিড়নকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার এবং সসস্ত্র সংঘাত বন্ধে তাদের প্রচেষ্টার কারণে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন।
[ad id=’5490′]
অর্থনীতি : টেকসই প্রবৃদ্ধির কৌশল
উইলিয়াম নরডাস (জন্মঃ ৩১ মে, ১৯৪১,আমেরিকা) – বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই প্রবৃদ্ধিসহ মৌলিক ও জরুরি বিষয়গুলো তুলে ধরার নকশা পদ্ধতিতে বিশেষ অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার জিতলেন দুই মার্কিনি। তারা হলেন— উইলিয়াম ডি নরডাস ও পল এম রোমার। ৮ অক্টোবর, সোমবার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের উইলিয়াম ডি. নরডাস ও নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পল এম. রোমারের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।
৯ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (১.০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পুরস্কারের অর্থ ভাগাভাগি করে নেবেন তারা। ১০ ডিসেম্বর অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। পুরস্কারের অর্থ তারা ভাগ করে নেবেন।
পল মাইকেল রোমার (জম্নঃ ৬ নভেম্বর, ১৯৫৫) – তিনি কাজ করেছেন টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে। নোবেল কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, পল রোমারকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে দীর্ঘমেয়াদে ম্যাক্রো ইকোনমিকসের সঙ্গে একীভূত করে বিশ্লেষণের স্বীকৃতি হিসেবে। পল এম রোমার চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভারে জন্মগ্রহণ করেন। শিকাগো ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন তিনি।
[ad id=’5488′]