মুক্তিযোদ্ধা ও খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিসিএস সহ যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা প্রস্তুতি
Freedom Fighter and Title Received Freedom Fighter, General Knowledge for any kind of competitive exams
[ad id=’5486′]
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনা শুনে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর যে সকল ব্যক্তি দেশের জন্য কাজ করেছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে সরকার। তন্মধ্যে একটি হলো মুক্তিযুদ্ধকালীন বয়স ১৩ বছর হতে হবে।
মোট খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা (৬৭৬+১) =৬৭৭
বীরশ্রেষ্ঠ = ৭ জন
বীর উত্তম (৬৮+১) = ৬৯ (সর্বশেষ= ব্রিগেডিয়ার জামিল উদ্দীন)
বীর বিক্রম = ১৭৫
বীর প্রতীক = ৪২৬ (মহিলা=২, নিখোজ= ৫৫। কিন্তু দেবদাস বিশ্বাস ওরফে খোকা বিশ্বাস বীর প্রতীক নামে ঝালকাঠির এক ব্যক্তিকে সনাক্ত করেন বিমল কান্তি দে। তাই বর্তমানে নিখোঁজ সংখ্যা হবে ৫৪)
[ad id=’5494′]
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত 68 জন। কিন্তু মোট বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্তের সংখ্যা 69 জন। 2010 সালে 75 এর অভ্যুত্থানের সময় বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হওয়া ব্রিগেডিয়ার জামিলকে বীর উত্তম খেতাব দেয়া হয়। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোজাফ্ফর আহমেদ কে বীর বিক্রম খেতাব দেয়া হয়।
তাই মুক্তিযুদ্ধে 175 জন বীর বিক্রম খেতাব পেলেও মোট বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত 177 জন।পার্বত্য চট্টগ্রামে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত 2 জনসহ মোট বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত 177 জন। তবে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত 175 জন।
নারী মুক্তিযোদ্ধা- ২ জন (২ জনই বীরপ্রতীক) (সেতারা বেগম ও তারামন বিবি)
নারী মুক্তিযোদ্ধা- সেতারা বেগম, তারামন বিবি ও কাঁকন বিবি
আদিবাসী নারী মুক্তিযোদ্ধা-কাঁকন বিবি
কাঁকন বিবি- খাসিয়া
কাঁকন বিবির আসল নাম- কাকাত হেনইঞ্চিতা
সর্বকনিষ্ঠখেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা-শহীদুল ইসলাম চৌধুরী (মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স-১২ বছর)
একমাত্র আদিবাসী/উপজাতি খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা – ইউ কে চিং (বীরবিক্রম)
একমাত্র বিদেশি বীরপ্রতীক-ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড(অস্ট্রেলিয়া; জন্ম নেদারল্যান্ড), ওডারল্যান্ড মারা যান- ১৮ মে ২০০১ সালে
[ad id=’5488′]
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠঃ
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর,
সিপাহী হামিদুর রহমান,
সিপাহী মোস্তফা কামাল,
মোহাম্মদ রুহুল আমিন,
ফ্লাইটলেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান,
ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ
এবং ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ
বীর শ্রেষ্টদের মধ্যে ১ম শহীদ >> মোস্তফা কামাল ।
জীবিত ব্যক্তিকে প্রদত্ত সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক পদবী – বীরউত্তম
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের নামে ৭টি পুকুর খনন করা হয়েছে – সুন্দরবনে
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের কোন কবর নেই/মতান্তরে রূপসা নদীর তীরে কবর দেয়া হয়
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবর- করাচি থেকে আনা হয় (২০০৬)
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের কবর আনা হয়- আসামের আমবাসা থেকে (২০০৭)
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান যে বিমানটি ছিনিয়ে আনছিলেন- টি-৩৩ (ছদ্মনাম ব্লু বার্ড)
[ad id=’5490′]